ওয়েব ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী রোববার (১৫ আগস্ট)। দিনটি যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে বাংলাদেশে ও প্রবাসে জাতীয় শোক দিবস পালনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।
সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৫ আগস্টে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ, সশস্ত্রবাহিনী অনার গার্ড প্রদান করবে এবং মোনাজাত করা হবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতার পরিবারের সদস্য ও অন্য শহীদদের কবরে (ঢাকার বনানীস্থ কবরস্থানে) সকাল সাড়ে ৭টায় পুষ্পস্তবক ও ফুলের পাপড়ি অর্পণ এবং দোয়া ও ফাতেহা পাঠ করা হবে।
সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণ, সশস্ত্রবাহিনীর অনার গার্ড প্রদান এবং মোনাজাত ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
সারাদেশের মসজিদগুলোতে বাদ জোহর বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন দিবসটির অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারসহ বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে।
জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। পোস্টার মুদ্রণ ও বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/গ্রোথ সেন্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতীয় শোক দিবসের পোস্টার সাটানো ও এলইডি বোর্ডের মাধ্যমে প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিশু একাডেমি বা অনুরূপ প্রতিষ্ঠানের অনুরোধের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক বক্তৃতার আয়োজন করবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধিদফতর ও সংস্থা জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে।
সরকারি-বেসরকারি সব প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা, কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন এবং জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। জেলা ও উপজেলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলোতে সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকতে হবে।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচিতে জেলা পরিষদ ও পৌরসভার অংশগ্রহণসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য দিবসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি প্রণয়ন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বাস্তবায়ন করবে।
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।